সংবাদ সম্মেলনে বেশতো সম্পর্কে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেশতো’র একজন টীম লিডার (সোশ্যাল ইনফরমেশন সার্ভিস) আবুল হাসানাত মুস্তফা। এ সময় তিনি বলেন, বেশতো একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানি। এটি প্রথমবারের মত নিয়ে এসেছে একটি সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম www.beshto.com যার মধ্যে এখন আছে দুটি সেবা: মাইক্রো-ব্লগ এবং বেশতো প্রশ্ন! বাংলাদেশীদের কথা মাথায় রেখেই সেবা দুটি সাজানো হয়েছে।
বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করলো নতুন সামাজিক ইন্টারনেট সেবা ‘বেশতো’। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বেসিস অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সেবার উদ্বোধন করা হয়। তবে, বর্তমান সেবাগুলো আরও ভালো করার সাথে সাথে ভবিষ্যতে আরও অনেক মজার ও প্রয়োজনীয় সেবা শুরু হবে বলেও জানান তিনি। যেমন- মোবাইল বেশতো, সার্চ (খোঁজা), কেনাকাটা, বিনোদন ইত্যাদি। তিনি বলেন, বাংলা ভাষায় ইন্টারনেটকে বাংলাদেশের সবার আরো উপযোগী করাই- বেশতোর উদ্দেশ্য।
তিনি জানান, প্রথম সার্ভিস ‘বেশতো লাইভ’ দিচ্ছে মাইক্রো-ব্লগিংয়ের সুবিধা যার মাধ্যমে বাংলাদেশীরা একে অপরের সাথে তাদের মতামত এবং বিভিন্ন তথ্য বিনিময় করেন। ‘যেখানে ফেসবুকে শুধুমাত্র বন্ধুদের মধ্যে কথা ও ছবি বিনিময় করা যায়, সেখানে বেশতোতে বিভিন্ন কথা ও ছবি সবার মাঝে মুক্ত করা যায়। আমাদের বিশ্বাস বাংলাদেশের সবাইকে একাত্ম করতে বেশতো’র এই সেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে’।
‘বেশতো প্রশ্ন’ এমন একটি সেবা, যেখানে আপনার দরকারী প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পারেন অথবা নতুন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন। প্রশ্নগুলো সাজানো আছে বিভিন্ন টপিক অনুসারে; যেমন- ক্যারিয়ার, শিক্ষা, রাজনীতি, ভ্রমণ, মিউজিক, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি। যেকোনো বেশতো ব্যবহারকারী এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। ভালো প্রশ্ন বা উত্তরকে সবাই ভোট দিতে পারেন। সেইসাথে রয়েছে পয়েন্টের ব্যবস্থা, যা দিয়ে আপনি ‘গুরু’ বা ‘জ্ঞানী’ টাইটেল পেতে পারেন।
বেশতো’র আরেকজন টীম লিডার মেহেদি হাসান বলেন, ‘একজন বেশতো ব্যবহারকারী যদি কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে চান অথবা পছন্দের কোন উত্তর সবাইকে দেখাতে চান, তাহলে তিনি মাইক্রো-ব্লগ ব্যবহার করতে পারেন’।
বেশতো’র একজন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বেসিস সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘আমরা বেশতো শুরু করেছিলাম একটি বিশ্বাস নিয়ে! আমরা জানতাম বেশতো তখনই মানুষের কাছে পৌঁছবে, যখন বেশতোতে থাকবে আমাদের কাছের মানুষ। চীন, ভিয়েতনাম, কোরিয়া এবং রাশিয়া- সবারই নিজেদের শক্তিশালী ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক সেবা আছে, যা তাদের দেশের মানুষের চাহিদা, তাদের নিজস্ব ভাষায় সফলতার সাথেই পূরণ করে আসছে। বাংলাদেশে বেশতো’র উদ্দেশ্য ঠিক এটাই’।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্ল্যাটফর্মটি বাংলা লেখার উপযোগী। ফলে প্রত্যেক বাংলাদেশি খুব সহজেই বাংলায় তথ্য বিনিময় করতে পারবেন। ‘বেশতো’র লক্ষ্য, সকল বাংলাদেশিকে চলমান ঘটনা এবং তথ্যের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করা। বর্তমানে বেশতোর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বেশতো’র পরিচালক ও জানালা বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, পরিচালক ও জানালা বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান এস এম মোবাশ্বের হোসেন, পরিচালক ও এটুআই’র সিনিয়র কনসালটেন্ট মোঃ ফখরুজ্জামান এবং টীম লিডার (বেশতো সার্ভিস) সাদমান রহমান।
source:priyo tech
0 মন্তব্যসমূহ
No Spam Link is Allowed