অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস যেভাবে সর্বনাশ করছে!!
জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস অ্যাভাস্টের জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বে রয়েছে। কিন্তু অ্যান্টিভাইরাস অ্যাভাস্টের বিরুদ্ধে গোপনে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তা মাইক্রোসফট, গুগলের মতো তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতিক কালের একটি অনুসন্ধানী তদন্তে অ্যাভাস্টের এই সব অনৈতিক কার্যক্রমের বিষয়টি উঠে আসার পর বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে ব্রাউজারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের চর্চা আর কখনোই করবে না বলে প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে।
সারা বিশ্বজুড়ে উইন্ডোজ, ম্যাক এবং মোবাইল ফোন মিলিয়ে মোট ৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডিভাইসে অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করা রয়েছে। ব্রাউজারের প্লাগইন ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের পর তা বিক্রি করে দেওয়ার কথা প্রকাশ করে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মাদারবোর্ড ও পিসি ম্যাগ।
আই,এ,এনএসের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হ্যাকিং থেকে বাঁচতে বা ডিভাইসের তথ্য সুরক্ষার জন্য বিনা মূল্যের এই অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ সুযোগটাই মূলত নেয় অ্যাভাস্ট। অনেক স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশেষ চুক্তির মাধ্যম বিক্রি করে থাকে তারা।
অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস এর বৈশ্বিক প্রধান নির্বাহী অন্দ্রেজ ভাইসেক আই,এ,এনএসকে বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ব্রাউজার স্টোরের মান অনুযায়ী তারা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
অনুসন্ধানী তদন্তের সময় অ্যাভাস্টের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান জাম্পশটের কাছেও স্পর্শকাতর তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে তাদের কাছেও তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাভাস্ট।
যেসব ডিভাইসে অ্যাভাস্ট ইনস্টল করা থাকে, সেখান থেকে ব্রাউজার হিস্টোরি সংগ্রহ করে অ্যাভাস্ট এরপর সেসব তথ্য কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পণ্য উপযোগী করে জাম্পশট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে। এই সব তথ্য ইয়েলপ, গুগল, মাইক্রোসফট, ম্যাকিনসে, স্যাফোরার মতো বড় বড় কোম্পানি কিনে নিয়ে থাকে।
ভাইসেক দাবি করেন, জাম্পশট কোনো ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ই–মেইল, নাম বা কন্টাক্টের বিস্তারিত জানতে পারে না। এ ছাড়া ব্যবহারকারী এখন চাইলে তথ্য শেয়ার করার বিষয়টি বন্ধ করে দিতে পারেন তারা।
অনুসন্ধানী তদন্তে দেখা গেছে যে, গত বছর তথ্য পেতে একটি প্রতিষ্ঠান জাম্পশটকে ২০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। এ ছাড়া যাঁরা পরিচয় গোপন করে পর্নো সাইটে যান, তাঁদেরও ট্র্যাক করে রাখার পর সেসব তথ্যও বেশি দামে বিক্রি করা হয়।
এই তদন্তের মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ওয়েব ব্রাউজার থেকে তথ্য সংগ্রহ বন্ধের কথা বলা হলেও এখনো অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমেই সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছে অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস । কিন্তু অ্যাভাস্টের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো
সম্পর্ক যুক্ত ট্যাগঃ এন্টিভাইরাস,এন্টিভাইরাস 2019,অ্যান্টিভাইরাস,ভালো এন্টি ভাইরাস,ফ্রী এন্টিভাইরাস,সেরাএন্টিভাইরাস,সেরা এন্টিভাইরাস,বেস্ট এন্টিভাইরাস 2019,বেস্ট এন্টিভাইরাস 2018,ডাউনলোড,মোবাইল ভাইরাস।avast,avast free antivirus,antivirus,avast antivirus,free antivirus,avast free,avast antivirus review,avast premier,antivirus avast,avast free antivirus review,best antivirus,antivirus gratis,descargar antivirus,avast test,descargar avast gratis,instalar antivirus,avast pro antivirus,avast antivirus test,free avast antivirus,avast antivirus free,avast antivirus sound,avast antivirus alert,avast antivirus for pc.
আরো দেখুনঃ
- পেনড্রাইভ থেকে সর্টকাট ভাইরাস দূর করুন চিরতরে
- ইউএসবি ডিস্ক সিকিউরিটি এন্টি ভাইরাস (USB DISK SECURITY)
- কিভাবে কম্পিউটারের যেকোন ভাইরাসের কার্যক্রম বন্ধ করবেন (কার্যকরী পদ্ধতি)
0 মন্তব্যসমূহ
No Spam Link is Allowed