কম্পিউটার হ্যাং হয়ে গেলে কি করবেন? জেনে নিন সমাধান।

 অনেক মানুষই কম্পিউটার ব্যবহার করতে গিয়ে কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়েন। গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় এ সমস্যা বহু সবাই কম বেশি বিরক্ত হন। এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য কয়েকটি উপায় দেওয়া হলো ।

Computer Hang

 

  •  রিস্টার্ট করুন

এ পদ্ধতিটি খুবই সাধারণ একটি বিষয়। যদি কম্পিউটার  কোনো কারণে হ্যাং করে তাহলে তা রিস্টার্ট করার জন্য আপনি পাওয়ার বাটন ০৫ থেকে ১০ সেকেন্ড চেপে ধরে ছেড়ে দিন। এতে কম্পিউটার রিস্টার্ট হএ যাবে। একটা কথা মাথায় রাখবেন, এটি খুব বেশিবার করলে কম্পিউটারের ক্ষতি হতে পারে।

  • পরবর্তী প্রক্রিয়া

 যদি আপনার কম্পিউটার  ঘন ঘন ফ্রিজ বা হ্যাং হয়ে যায় তাহলে কয়েকটি কাজ করতে পারেন।  তবে বিভিন্ন রকম সমস্যা ভেদে এ কাজগুলো ভিন্ন  হতে পারে। এ কাজ গুলো হলো-


১. যদি ভালোভাবে কম্পিউটার স্টার্ট হয় তবে-

 
যদি কম্পিউটার  ঠিকমত স্টার্ট হয় তাহলে সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় বা গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলুন। যাতে করে পরবর্তীতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলেও আপনার ফাইল হারানোর মত ঘটনা ঘটবে না।
 

২. যদি আপনার কম্পিউটার  বুট অপশন প্রদর্শন করে তবে-

 
কম্পিউটার চালু করার পর যদি বুট অপশন প্রদর্শন করে তাহলে আপনি প্রথমবার start Windows normally এই অপশন সিলেক্ট করুন। চালু করার পরও যদি তা আরও সমস্যা করতে থাকে তবে Safe Mode সিলেক্ট করুন। তারপর দ্রুত আপনার তথ্যগুলো ব্যাকআপ করে ফেলুন। এছাড়াও যদি  আপনার কম্পিউটার  আরও সমস্যা সৃষ্টি করে তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ এর দিকে যান। এক্ষেত্রে একটি মাত্র উপায় হতে পারে আর সেটি হলো  "Safe Mode with Networking"  এই অপশন সিলেক্ট করা। তারপর যদি কম্পিউটার চালাতে গিয়ে আর সমস্যা না হয় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে সমস্যাটি হচ্ছে সফটওয়্যারের। আর তারপরও যদি কম্পিউটার  ফ্রিজ বা হ্যাং হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে  এটি হার্ডওয়্যারের সমস্যা হতে পারে।


৩. যদি কম্পিউটার চালু করার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজ বা হ্যাং হয়ে যায় তবে-

 
রিবুট করার পর কম্পিউটার যদি স্বাভাবিক মোড কিংবা সেফ মোড উভয়টিতেই ফ্রিজ হয়ে যায় তাহলে এটি সফটওয়্যার কিংবা হার্ডওয়্যার উভয় সমস্যার কারণেই হতে পারে। এক্ষেত্রে উভয় বিষয়টিই লক্ষ্য করতে হবে।


  •  কম্পিউটার সফটওয়্যার ট্রাবলশুটিং

 
 যদি আপনার কম্পিউটার  এমন কোনো সমস্যার কারণে হ্যাং করে,যে তা নির্ণয় করা যাচ্ছে না তাহলে আপনি CTRL + SHIFT + ESC বাটন একত্রে চেপে টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করুন। যদি আপনার উইন্ডোজ ৮.১ ও ১০হয় সে ক্ষেত্রে টাস্ক ম্যানেজার থেকে More details-এ যেতে হবে। তারপর আপনার কম্পিউটারের সিপিইউ, মেমোরি ও ডিস্ক ক্যাটেগরি ইত্যাদি অপশন থেকে সমস্যা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। কোনো একটি সফটওয়্যারের গ্রাফ যদি বেশি উঁচু দেখায় তবে তা নির্ণয় করুন। তারপর কম্পিউটারের  সে সফটওয়্যারটি রিমুভ করে দিন বা আপডেট করে নিন।
আপনার কম্পিউটারে থাকা চলমান বিভিন্ন হিডেন সফটওয়্যারও আপনি টাস্ক ম্যানেজারে খুঁজে পাবেন। এগুলোর মধ্যে ভাইরাসও থাকতে পারে । এ ধরনের কোনো সফটওয়্যারের অস্তিত্ব টের পেলে সাথে সাথে ভাইরাস গার্ড আপডেট করুন   এবংসম্পূর্ণ কম্পিউটার ভালোভাবে স্ক্যান করুন। যদি কম্পিউটার  সেফ মোডে ভালো চলে কিন্তু স্বাভাবিক মোডে সমস্যা করে তাহলে অটোরান থেকে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার বাদ দিয়ে দিন।
 আপনার কম্পিউটার যদি স্টার্ট করার সময় ফ্রিজ বা হ্যাং হয়ে যায় তাহলে তা উইন্ডোজের সমস্যা বলে ধরা যেতে পারে। এজন্য আপনার উইন্ডোজ আবার নতুন করে ইনস্টল করতে হতে পারে।


  • হার্ডওয়্যার সমস্যা

 
 আপনার কম্পিউটার যদি সেফ মো্ড এবং স্বাভাবিক মোড উভয় অবস্থাতেই চালু না হয় তাহলে তা হার্ড ডিস্ক, সিপিইউ,কিংবা পাওয়ার সাপ্লাই বা এ ধরনের যেকোন  যন্ত্রের সমস্যা আছে বলে ধরা যায়। এছাড়া কিছু কুছু ক্ষেত্রে তা মাদারবোর্ডের সমস্যাও হতে পারে। কিছু কিছু সফটওয়্যার পাওয়া যায় যা অনেক সময় হার্ডওয়্যারের সমস্যাও নির্ণয় করতে পারে।

যদি পোষ্টটি আপনাদের কোন উপকারে আসে বা ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন।

 

আরো দেখুন ঃ

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ