জিম্বাবুইয়ান ডলারের আত্মকাহিনী (চরম ফানি পোস্ট)

ক্রিকেটের বদৌলতে জিম্বাবুয়ে দেশটা এখন বাংলাদেশের সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত। আফ্রিকার একটা দেশ। তো আজ আমি সেই দেশের মুদ্রার কিছু মজার অভিজ্ঞতা শোনাব। অনেকেই হয়ত জানেন, অনেকেই হয়ত জানেন না। প্রথমেই বলে নেই, দেশটির মুদ্রার নাম ডলার। কিন্তু অচিন্ত্যনীয় মূল্যস্ফীতির কারণে এই মুদ্রাটির ইজ্জত কোন পর্যায়ে নেমে যেতে পারে সেই কাহিনীই আজকে আপনাদের বলব ছবির মাধ্যমে…
আচ্ছা, এই ছেলেটি এত খুশি কেন? মিলিওনিয়ার হয়ে গেছে তাই??  এই ছেলেটি লেনদেন করছে ২০০,০০০ $ এর নোট দিয়ে !!

কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই ২০০,০০০ ডলারের নোটটির মান US $ 0.10 এর চেয়েও কম… 
২২ শে ডিসেম্বর ২০০৭। ৫০০,০০০ ডলারের একটি নতুন নোট বাজারে ছাড়া হল…

মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলল, এরপর বাজারে ছাড়া হল ৭৫০,০০০ ডলারের নোট…

জানুয়ারী ২০০৮। বাজারে এল নতুন নোট, ১০ মিলিয়ন ডলার !!

দেখুন, এত বড় টাকা পেয়ে লোকটি কত খুশী 
মজার ব্যাপার হল, এই US $ 10 এর নোটটি, জিম্বাবুইয়ান ১০ মিলিয়ন ডলার নোটের চেয়েও ১০ গুন বেশী মূল্যমানের অধিকারী !!! 

দেখুন, এই ছেলেটি এত্ত এত্ত ডলার পেয়ে কি খুশী !! তবে এটা কি আসল না ব্যাঙ্গাত্মক আনন্দ সেটা প্রশ্নের বিষয়… 

ছবির এই বেচারা সুপার মার্কেটে যাচ্ছে কেনাকাটা করার জন্য। মুদ্রার বিনিয়ময় হার হল, ১ ইউএস ডলার = ২৫ মিলিয়ন জিম্বাবুইয়ান ডলার। 

এই যে ডলারের স্তুপ দেখতে পাচ্ছেন এর মূল্যমান কত জানেন?? মাত্র ১০০ ইউএস ডলার !! 

অগত্যা ৫০ মিলিয়ন ডলারের নোট চালু করা হল… 

তাতেও পোষাচ্ছে না, এবার এল ২৫০ মিলিয়ন ডলারের নোট !! 

আচ্ছা দেখুনতো এই টি শার্টটির দাম কত?? বেশী না, এই ৩ বিলিয়ন ডলারের মত… 

ওরে সোনা, এতেও হয় না রে !! মে ২০০৮, ৫০০ মিলিয়ন ডলারের নোট বাইর হইল !!

জুন ২০০৮, ২৫ এবং ৫০ বিলিয়ন ডলারের নোট বাহির হইল !!

শালার মূল্যস্ফীতি এমন বাড়াই বাড়ল যে এর পরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নোট বাহির হইল !!!

আচ্ছা এই ১০০ বিলিয়ন ডলার দিয়ে আপনি কি কিনতে পারেন?? উদাহরণ স্বরুপ, এই তিনটি ডিম কিনতে পারেন !! (৩ বিলিয়ন ডলারে ১ টি টি শার্ট এখনতো সস্তাই মনে হচ্ছে… 

দেখুন লোকজন কিভাবে রেস্টুরেন্টে যেত…

একটা স্যাম্পল হোটেল বিল দেখুন !!!

শেষ পর্যন্ত, অগাস্ট ২০০৮ এ জিম্বাবুইয়ান সরকার তাদের মুদ্রাকে অবমূল্যায়ন করল তাদের নোটগুলো থেকে ১০ টা শুন্য সরিয়ে দিয়ে…

কিন্তু, মূল্যস্ফীতি বাড়তেই থাকল এবং সেপ্টেম্বরে গিয়েই দেখুন ৪ টা টমেটো কিনতে কত ডলার লাগে !!

অবস্থা দেখেন, এক টুকরা রুটি কিনতে কত ডলার লাগে !!!

এরপর আবার শুরু হইল… সেই পুরান কাহিনী… সেপ্টেম্বরে ২০,০০০ ডলারের নোট !!

এরপর ৫০,০০০ ডলারের নোট… :|

এরপর ৫০০,০০০ এবং ১,০০০,০০০ ডলারের নোট ও ছাপা হল, কিন্তু মূল্যস্ফীতি কোন পর্যায়ে পৌছেছিল সেটা কেউই বলতে পারছিল না, দ্রব্যমূল্য লাগাম ছাড়া, লোকজন শেষ পর্যন্ত টয়লেটে এই ধরণের নোটিশ দিতে বাধ্য হলঃ

হায় আল্লাহ, কি অবস্থা !! ডলার দিয়ে বাথরুম এর কাজ সাড়া হয় টিস্যু পেপার বিকল্প 
ছবি ও তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ